হাওজা নিউজ এজেন্সি: গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গাজা শহরে মুস্তফা ইয়াসিন নামের এক শিশু ক্ষুধা ও পানিশূন্যতায় মারা গেছে।
এটি সেই ধারাবাহিক মানবিক বিপর্যয়ের আরেকটি করুণ উদাহরণ, যেখানে ইসরায়েলের চলমান অবরোধের ফলে শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে ক্ষুধা এবং ডিহাইড্রেশনের কারণে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েই চলেছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) জানায়, গাজায় বর্তমানে ৭০,০০০-এর বেশি শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে। সংস্থাটি বলেছে, “আমরা প্রতিটি সুযোগে গাজায় খাদ্য সাহায্য পৌঁছানোর চেষ্টা করছি, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। যা প্রবেশ করছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।”
তারা অবিলম্বে “নিরাপদ, পূর্ণ এবং বাধাহীন সহায়তা প্রবেশাধিকার” নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধ করা যায় এবং জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাজেদ আবু রামাদান শুক্রবার সতর্ক করে বলেন, গত দুই দিনে ক্ষুধা-সংক্রান্ত কারণে আরও ২৯ জন শিশু ও বৃদ্ধ মারা গেছেন। তিনি বলেন, হাজার হাজার মানুষ এখনো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
নবজাতকদের বিপদের কথা উল্লেখ করে আবু রামাদান বলেন, “যদি অবরোধ চলতে থাকে এবং সাহায্য পৌঁছানো না যায়, তাহলে গাজায় ১৪,০০০ নবজাতকের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।”
তিনি এই অনুমানকে “সম্পূর্ণ বাস্তবসম্মত” বলে উল্লেখ করেন।
জাতিসংঘের খাদ্যের অধিকার সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিবেদক ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে বলেন, “ইসরায়েল বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে ক্ষুধাকে একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।”
তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদকে অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান, যাতে গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে আর কেউ এমন অমানবিক পরিস্থিতির শিকার না হয়।
আপনার কমেন্ট